বিস্মিল্লাহির রহমানির রহীম
বাংলাদেশে জীবন বীমার উন্নয়নে ও নিয়ন্ত্রণে বর্তমান মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কার সমুহ:
১. বৃটিশ শাসনামলে প্রণীত Insurance Act::-১৯৩৮ রহিত করে ‘বীমা আইন, ২০১০” প্রণয়ন করা
হয়েছে।
হয়েছে।
২. একই সাথে বীমা শিল্পের নিয়মতান্ত্রীক উন্নয়ন ও বীমা গ্রাহকের স্বার্থ সমুন্নত রাখার লক্ষে এবং বীমা
আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বীমা আইন, ২০১০ এর মাধ্যমে বীমা অধিদপ্তর
বিলুপ্ত করে বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বীমা আইন, ২০১০ এর মাধ্যমে বীমা অধিদপ্তর
বিলুপ্ত করে বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
৩. উক্ত আইনের অধীনে ২০১১ সালে ২৭ জানুয়ারী বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম শুরু করে।
৪. বীমাকে পরিকল্পিত শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার সাথে সাথে সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির কৌশল হিসেবে
ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪ প্রণয়ন করেছে।
ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় বীমা নীতি, ২০১৪ প্রণয়ন করেছে।
৫. বীমা শিল্পে প্রশিক্ষিত জনবল যোগানের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বীমা বিষয়ক কোর্স চালুকে উতসাহিত
করা কয়েছে।
করা কয়েছে।
৬. বীমা কর্মীদের জন্য ৭২ ঘন্টা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭. বীমা শিল্পকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বীমা খাতের
তদারকি ও উন্নয়নের যাত্রাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আইডিআরএ International Association
of Insurance Supervisors(IAIS) এর সদস্যভূক্ত হয়েছে।
তদারকি ও উন্নয়নের যাত্রাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আইডিআরএ International Association
of Insurance Supervisors(IAIS) এর সদস্যভূক্ত হয়েছে।
৮. আইডিআরএ সার্ক দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগীতা ও অভিজ্ঞতা বিনিমযের উদ্দেশ্যে ০৬ ও ০৭
এপ্রিল ২০১৩ তারিখে প্রথম সার্ক ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরস্ কনফারেন্স ২০১৩ সফলভাবে আয়োজন করে।
এপ্রিল ২০১৩ তারিখে প্রথম সার্ক ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরস্ কনফারেন্স ২০১৩ সফলভাবে আয়োজন করে।
৯. বীমা খাতের উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে আইডিআরএ এবং এ
উদ্যোগে সরকার ও বিশ্বব্যাংক সহযোগীতা করছে। এর ফলে একদিকে যেমন বীমা শিল্পের উপর নিবিড়
নজরদারি করার সম্ভব হবে, তেমনি এ শিল্পের উন্নতি ও উতকর্ষ সাধিত হবে।
উদ্যোগে সরকার ও বিশ্বব্যাংক সহযোগীতা করছে। এর ফলে একদিকে যেমন বীমা শিল্পের উপর নিবিড়
নজরদারি করার সম্ভব হবে, তেমনি এ শিল্পের উন্নতি ও উতকর্ষ সাধিত হবে।
১০. বীমা সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টি করা, বীমার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করা,
বীমা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারনা দূর করা ও বীমার ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরাসহ বীমার
উপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা এবং দেশের তরুন ছাত্র সমাজের মধ্যে বীমা শিল্পে নিজের ক্যারিয়ার
গঠন করার মাধ্যমে নিজের সমাজের সাফল্য বয়ে আনার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের
আয়োজনে বীমা মেলা ২৩,২৪ও২৫ মার্চ ২০১৬ আয়োজন করা হয়েছে।
বীমা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারনা দূর করা ও বীমার ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরাসহ বীমার
উপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা এবং দেশের তরুন ছাত্র সমাজের মধ্যে বীমা শিল্পে নিজের ক্যারিয়ার
গঠন করার মাধ্যমে নিজের সমাজের সাফল্য বয়ে আনার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের
আয়োজনে বীমা মেলা ২৩,২৪ও২৫ মার্চ ২০১৬ আয়োজন করা হয়েছে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোম্পানী ও গ্রাহকের প্রতি নির্দেশনা:
পলিসি খোলার ক্ষেত্রে বীমাকরীর করণীয়সমুহ:--------------------------
১.বীমাকারী বিভিন্ন পলিসি সংক্রান্ত প্রসপেক্টাস জারি করবেন এবং বীমাগ্রাহককে সরবরাহ করবেন। প্রসপেক্টাস এ বর্ণিত শর্তাদি ও অন্যান্য বিয়ষ বীমাগ্রহীতাকে অবশ্যই অবহিত করবে।
২. বীমা পলিসি জারি করার পূর্বে বীমা কোম্পানি বীমা গ্রাহকের নিকট থেকে বীমাকৃত বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য ও বর্ণনা সম্বলিত প্রস্তাব পত্র গ্রহণ করবে।
৩. প্রস্তাব পত্র পুঙ্খানো-পুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে বীমা গ্রহীতার প্রস্তাবিত ঝুঁকি গ্রহণের জন্য নির্ধারিত প্রিমিয়াম দাবি করে বিল প্রদান করবে।
৪. বীমাকারী অবশ্যই বীমা গ্রহীতাকে গৃহিত অর্থ/প্রিমিয়ামের রশিদ প্রদান করবে।
৫. বীমাপত্র জারি করার সময় কোম্পানি লক্ষ্য করবে প্রস্তাবিত ঝুঁকিসমুহ যথাযথভাবে বীমাপত্রে আবরিত করা হয়েছে কি-না এবং এ ঝুঁকি গ্রহণের শর্তাবলী স্পষ্ট করে বীমাপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
পলিসি খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকের করণীয়সমুহ:--------------------------
১. বীমা গ্রহীতা প্রসপেক্টাস ভাল করে অবশ্যই পড়বেন এবং জেনে নেবেন।
২. বীমা গ্রহীতা কোন বীমা পলিসি গ্রহনের ক্ষেত্রে বীমাকৃত বিষয়ের সম্পূর্ণ তথ্যাদি বীমা কোম্পানিকে অবহিত করবে এবং কি-কি ঝুঁকি গ্রহণ করতে চায় তা উল্লেখ করতে হবে।
৩. বীমাপত্র খোলার সময় বীমাকৃত বিষয়ে কোন তথ্য গোপন করা যাবে না। পরবর্তীতে ধরা পড়লে বীমা কোম্পানি কর্তৃক দাবি পরিশোধে আইনগত সমস্যা হতে পারে।
৪. বীমাগ্রহীতা অবশ্যই বীমাকারীর নিকট হতে প্রদত্ত অর্থ/প্রিমিয়ামের রশিদ সংগ্রহ করবেন।
৫. বীমা কোম্পনি প্রদত্ত পলিসিতে প্রার্থিত ঝুঁকিসমুহ যথাযথভাবে বীমাপত্রে আবরিত করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হতে হবে এবং বীমা পলিসিতে বর্ণিত শর্তাবলী পড়ে সন্তুষ্ট হতে হবে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বীমা মেলা অয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে:-
১. বীমা সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টি করা।
২. বীমা প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করা।
৩. বীমা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারনা দূর করা ও বীমার ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা।
৪. বীমার উপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা।
৫. বীমা শিল্পের সাথে জড়িতদের মধ্যে সৌহার্দ সৃষ্টি করা।
অর্থনৈতিক নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য চাই বীমা
১. বীমা সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টি করা।
২. বীমা প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করা।
৩. বীমা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারনা দূর করা ও বীমার ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা।
৪. বীমার উপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি করা।
৫. বীমা শিল্পের সাথে জড়িতদের মধ্যে সৌহার্দ সৃষ্টি করা।